Sports
প্রবাসীদের আলোয় ফুটবলের স্বপ্ন, কিন্তু ভিত কতটা মজবুত?
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫৫ মাস পর জাতীয় ফুটবল দলের প্রত্যাবর্তন যেন এক উৎসবে পরিণত হয়। ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা ফুটবলার হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত এক গোল করে তিনি জাতীয় দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
বর্তমানে জাতীয় দলে রয়েছেন ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার—জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, কাজেম শাহ, হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত সোম। আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে শমিত সোমের। এছাড়া কিউবা মিচেলসহ আরও কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তবে এই উচ্ছ্বাসের আড়ালে রয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের করুণ বাস্তবতা। দেশের প্রিমিয়ার লিগে অনেক দল খেলার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো, নিজস্ব মাঠ, সমর্থক বা পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত। ফুটবলাররা নিয়মিত পারিশ্রমিক পান না, কোচ ও রেফারিরা অবহেলিত, এবং ক্লাবগুলো দিশাহারা। তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর লিগের অভাব এবং ক্লাব সংস্কৃতির দুর্বলতা জাতীয় দলের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
প্রবাসী ফুটবলারদের অবদান নিঃসন্দেহে গর্বের, তবে শুধুমাত্র তাঁদের উপর নির্ভর করে জাতীয় ফুটবলের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। দরকার শক্ত ভিত—যেখানে থাকবে কিশোর লিগ, অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতা, উন্নত কোচিং, ভালো রেফারিং, রেফারিদের জন্য ভালো প্রণোদনা ও ক্লাব সংস্কৃতির নবজাগরণ। এই ভিত গড়ে তুলতে হবে দেশের ভেতর থেকেই।