Politics

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য এক বছরের ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান

Published

on

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন, দল সরকার গঠন করলে দেশের শিক্ষিত বেকারদের জন্য এক বছরের মেয়াদে বেকার ভাতা চালু করা হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার তাদের কর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোগ নেবে, এবং বেকাররাও নিজেরা কাজ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, “আমরা যেটা চেষ্টা করছি, যাঁরা চাকরি পাননি তাঁদের জন্য একটা শিক্ষিত বেকার ভাতার ব্যবস্থা করার। এটা এক বছর পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে সরকার তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য চেষ্টা করবে। শিক্ষিত বেকারেরাও তাঁদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবেন।”

এই ঘোষণা তিনি রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেন।​

এছাড়াও, তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কোনো মানুষকে তাঁর ধর্ম–বর্ণ দিয়ে বিবেচনা করি না যাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা তাঁদের বাংলাদেশি হিসেবে দেখি। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্টের বিষয় নেই। রাষ্ট্র ও সংবিধান একজন নাগরিককে যে অধিকার দেয়, সেই বিচারে সবার সমানভাবে সবকিছু পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”

এই ঘোষণাগুলো বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত সংবাদ:

আজ বুধবার বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলার (বিএনপির সাংগঠনিক জেলা) নিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফাসংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “আমরা যেটা চেষ্টা করছি, যাঁরা চাকরি পাননি তাঁদের জন্য একটা শিক্ষিত বেকার ভাতার ব্যবস্থা করার। এটা এক বছর পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে সরকার তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য চেষ্টা করবে। শিক্ষিত বেকারেরাও তাঁদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবেন।”​

বিগত সরকারের সময়ে সরকারি ও আধা সরকারি চাকরিতে দলীয়করণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতৃত্ব ছিল, তরুণ সহকর্মী ছিলেন, তাঁদের অনেকেই আন্দোলন–সংগ্রামের কারণে বয়স পার হয়ে গেছে। এটার ভুক্তভোগী শুধু ছাত্রদল নয়, এর বাইরে অনেক মানুষ আছেন। যাঁরা স্বৈরাচারের রাজনীতি সমর্থন করতেন না। কিন্তু সরকারের পক্ষে না থাকায় তাঁদেরও চাকরি খেয়েছে বা চাকরি দেয়নি। এ বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিমা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিবেচনায় সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করা বর্তমানে সম্ভব নয়, তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।​

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে, যা গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।​

সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ধর্ম–বর্ণের ভিত্তিতে নয়, নাগরিকত্বের ভিত্তিতে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।​

তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও রংপুর বিভাগের অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে রাজনীতি না করে বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কৃষি সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য বছরে একটি ফসলে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ১০ বিঘার নিচে জমির মালিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।​

এই ঘোষণাগুলো বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।​

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version