Politics
অভয়নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিচার দাবি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “অভয়নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভাঙচুর ও অত্যাচার সত্ত্বেও বিচার না হওয়ায় মনে হচ্ছে সরকারের কেউ কেউ মৌলবাদীদের আঙুল ধরে আছে।”
বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায় উল্লেখ করেন, “অভয়নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি ও লুটপাট হয়েছে। দেশে হিন্দুবিদ্বেষী মনোভাব বেড়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় জন্মভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে পারছে না। সব সময় ভয় ও উৎকণ্ঠা নিয়ে থাকতে হচ্ছে।”
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার অভয়নগর উপজেলায় কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যার নিন্দা জানান এবং দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ভক্ত সংঘ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল বলেন, “দেশে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় ব্যর্থ।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধি প্রদীপ কান্তি দে, রাজেশ নাহা, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ আচার্য, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সাজন কুমার মিস্ত্রী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বিশ্বাস, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়, মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রমুখ।
এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অভয়নগর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদ এবং ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিও জানানো হয়।