Business
সুতা আমদানিতে জটিলতা—বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
মহিউদ্দিন রুবেল, সাবেক পরিচালক, বিজিএমইএ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প, যা দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস, বর্তমানে সুতা আমদানির জটিলতায় সংকটে পড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৫ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও সমুদ্রপথে আমদানির সুযোগ রয়েছে, তাতে সময় ও খরচ বেড়ে যায়।
ভারতীয় সুতা আমদানিতে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা ঘোষণা, কম মূল্যে পণ্য প্রবেশ এবং উচ্চ মানের সুতাকে নিম্ন মানের হিসেবে দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের সিদ্ধান্ত এই অনিয়ম বন্ধের উদ্দেশ্যে নেওয়া হলেও, এর ফলে দেশি স্পিনিং মিলগুলো সুতার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশে তুলা উৎপাদন প্রায় নেই বললেই চলে, ফলে সুতা উৎপাদনের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতীয় সুতার দাম তুলনামূলক কম হওয়ায়, তা পোশাকশিল্পের জন্য আকর্ষণীয় ছিল। তবে নগদ সহায়তা কমে যাওয়ায় দেশি সুতার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
পোশাকশিল্পের নেতারা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন, স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ না করে অনিয়ম বন্ধের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান ও তদারকি বাড়ানোর। তাঁরা সুতার মান পরিমাপের যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাস সংকট, উচ্চ সুদের হার এবং অন্যান্য উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশি স্পিনিং মিলগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পোশাকশিল্পের জন্য আরও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সুতা আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি, যাতে দেশি শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় থাকে।
Masud Jahangir.Setabgonj.Dinajpur
May 16, 2025 at 1:25 pm
দেশের পোশাক শিল্প রক্ষায় সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন