Politics

পুলিশি হেফাজত থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

Published

on

১৪ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় অভিযানের সময় পুলিশি হেফাজত থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ছাত্রদল নেতাসহ পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা হয়।

উপজেলার চাতলপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। এতে সরকারি কাজে বাধাসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

যদিও গতকাল মঙ্গলবার নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম দাবি করেছিলেন, পুলিশি হেফাজত থেকে কাউকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া (২৮), মশিউর রহমান ভূঁইয়া (৩৮), ফোকল ভূঁইয়া (৫০), শুভল ভূঁইয়া (৩৫) ও হারুন ভূঁইয়া (8৫)। তাঁরা সবাই চাতলপাড় ইউনিয়নের বাঘাইয়া হাটির বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল দুপুরে চাতলপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানতে পারেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর থানায় হওয়া বিস্ফোরক মামলার আসামি মশিউর রহমান চাতলপাড় বড়বাজারে নিজের দোকানে অবস্থান করছেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দৌড়ে পালানোর সময় মশিউর রহমান ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। সে সময় এ মামলার ১ নম্বর আসামি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পুলিশের কাজে বাধা দেন। তাঁরা রফিকুলসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের কিলঘুষি মারেন এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন সরকার, কনস্টেবল জয়নাল আবেদীন, মো. রমজান ও মো. মাকসুদ আহত হন। একপর্যায়ে তাঁরা মামলার ২ নম্বর আসামি মশিউর রহমানকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। তবে পুলিশ জয়নাল আবেদীনকে আটক করতে সক্ষম হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি অরুপ রায় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানকে পৃথকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জয়নাল ভূঁইয়া, তাঁর সঙ্গী সোহেল মিয়াসহ কয়েকজন পুলিশের গতি রোধ করেন এবং মশিউরকে ছিনিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় জয়নাল ভূঁইয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আটক ছাত্রদল নেতাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version