Connect with us

Politics

সংবিধান পুনর্লিখনের বিপক্ষে গণফোরাম: সংসদীয় পদ্ধতিতে সংশোধনের পক্ষে দলটি

সংবিধান পুনর্লিখনের বিপক্ষে গণফোরাম

Published

on

গণফোরাম বিদ্যমান সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বলে উল্লেখ করে নতুন করে সংবিধান লেখার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে তারা মনে করে, জন–আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে।

শনিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই অবস্থান তুলে ধরে। প্রতিনিধিদলে সভাপতি পরিষদের সদস্য সুব্রত চৌধুরী, এ কে এম জগলুল হায়দারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছে এবং সাংবিধানিক সরকারের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন করতে হলে জাতীয় সংসদ ব্যতিরেকে বর্তমান কাঠামোতে তা সম্ভব নয়।

গণফোরাম রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য চায়। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে তিনি স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছেন এবং রাষ্ট্রের পুরো মালিকানা তাঁর হাতে চলে গেছে।

তারা সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছে, তবে মেয়াদ ১২০ দিনের পরিবর্তে আগের মতোই ৯০ দিন রাখার পক্ষে।

গণফোরাম মনে করে, সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি থাকা উচিত নয়। তাদের মতে, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তবে একজনের সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত।

তারা বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন এবং গণপরিষদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে।

দলটি আরও উল্লেখ করেছে, ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি কামাল হোসেন, যাঁকে তারা সংবিধানের প্রণেতা হিসেবে দাবি করে। মিজানুর রহমান বলেন, কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনকে বলেছিলেন, জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করা যাবে, তবে সেটা অবশ্যই জাতীয় সংসদের মাধ্যমে করা সমীচীন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Politics

খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ তুলে দিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা

Published

on

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে এই কাগজপত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। তবে হস্তান্তরিত কাগজপত্রের বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুলশানে দেড় বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাড়িটি ‘ফিরোজা’ নামের তাঁর বর্তমান বাসভবনের কাছেই অবস্থিত। এছাড়া, সেনানিবাস এলাকায় আরেকটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, গুলশানের বাড়িটি খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁর নামে নামজারি করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নামজারি সম্পন্ন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র হস্তান্তর করে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়।

Continue Reading

Politics

“বাজেটে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের প্রতিফলন নেই, মানুষ হতাশ: জোনায়েদ সাকি”

Published

on

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বাজেটটি আমলাতান্ত্রিক ও পুরোনো কাঠামোর অনুসরণে তৈরি, যা সাধারণ মানুষের জীবনে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না।

আজ বুধবার রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বাজেট পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন। এ সময় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু ও মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

সাকি বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তরুণদের ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। বরং নিম্ন আয়ের মানুষের করসীমা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা হয়নি, মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, অথচ ধনীদের কর কমানো হয়েছে। এই বৈষম্য নতুন করে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। বাজেট প্রণয়নে আমলাতন্ত্রের বড় ভূমিকা থাকায় কাঠামোগত ও চিন্তাগত পরিবর্তন ঘটেনি, যা জনগণকে হতাশ করেছে।

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ জরুরি উল্লেখ করে সাকি বলেন, বাজেটে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো নতুন নীতি নেই। ফলে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম, যা তরুণদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।

তিনি বলেন, সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে জবাবদিহিতা হয়নি। তাই সরকারকে রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সংগঠন, উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। বাজেট নিয়ে শুনানি আয়োজন করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

Continue Reading

Politics

ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর স্পষ্ট ভূমিকা চাইলেন সারজিস আলম”

Published

on

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে স্পষ্ট অবস্থান ও কার্যক্রম প্রদর্শন করে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে সামান্য আগুনের ঘটনায় সেনাবাহিনী তৎপর হলেও, গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও খুনিদের ধরতে তেমন কোনো অভিযান চালানো হয়নি।

সারজিস আলমের অভিযোগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলের ছদ্মাবরণে সরকারি দলের সুবিধা নিচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, জাপার সন্ত্রাসীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে, অথচ সেনাবাহিনী মূল ঘটনা উপেক্ষা করে বাইক পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অভিযান পরিচালনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই।

Continue Reading

Trending

Copyright © 2025 Bochaganjupazilamodelpress.com