Connect with us

Politics

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ: পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া

Published

on

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। এই ঘটনায় উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়।

ঘটনার পটভূমি

গতকাল (১৫ এপ্রিল) ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হয়। এর প্রতিবাদে আজ সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে সমবেত হন। এই সমাবেশটি দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া দেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে। এই ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি বলে জানা গেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিক্রিয়া

ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহনশীলতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষও একইভাবে এই ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

এই ধরনের ঘটনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও শিক্ষার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই উভয় কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহনশীলতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করা প্রয়োজন।

🔍 ঘটনার সূচনা কোথায়?

সূত্র মতে, রবিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী সায়েন্স ল্যাব মোড়ের পাশে একা থাকাকালে হামলার শিকার হন। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেন, এই ঘটনায় সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়িত। অভিযোগ ওঠে, পূর্বের কিছু ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকেই এই হামলা ঘটে।

পরদিন সোমবার সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে প্রতিবাদে নেমে আসে। কিছু সময়ের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে, এবং শুরু হয় সংঘর্ষ।

⚠️ সংঘর্ষের চিত্র: প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকেই রাস্তায় উভয় কলেজের শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকে। হঠাৎ করেই শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। উভয় পক্ষই হেলমেট, ব্যাগ দিয়ে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। এই সময় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ হয়ে পড়ে।

একজন দোকানদার বলেন,
“এমন হাঙ্গামা আগেও দেখেছি, কিন্তু আজকের মতো এত হঠাৎ আর এত ভয়াবহ ছিল না। লোকজন ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়।”

👮 পুলিশের ভূমিকা ও ব্যবস্থাপনা

সংঘর্ষের প্রায় ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে নিউমার্কেট থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত র‌্যাব সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা প্রথমে লাঠিপেটা ও পরে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা জানান,
“আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত। কেউ গুরুতর আহত হননি, তবে দুই কলেজের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।”

📢 দুই কলেজের অবস্থান

  • ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ: ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলে, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ: তারা দাবি করে, সংঘর্ষে তাদের ছাত্ররা জড়িত নয় এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

🧠 বিশ্লেষণ: কেন বারবার ঘটে এই সংঘর্ষ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘনিষ্ঠভাবে অবস্থান করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে এমন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।

শিক্ষাবিদ ড. মেহেদী হাসান বলেন,
“শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহনশীলতা শেখানোর জন্য কলেজগুলোতে নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম দরকার।”

✅ করণীয় ও সুপারিশ

  • দ্রুত বিচার ও তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করা
  • নিয়মিত শিক্ষার্থী কাউন্সেলিং
  • দুই কলেজের মধ্যকার যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা

Politics

খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ তুলে দিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা

Published

on

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে এই কাগজপত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। তবে হস্তান্তরিত কাগজপত্রের বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুলশানে দেড় বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাড়িটি ‘ফিরোজা’ নামের তাঁর বর্তমান বাসভবনের কাছেই অবস্থিত। এছাড়া, সেনানিবাস এলাকায় আরেকটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, গুলশানের বাড়িটি খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁর নামে নামজারি করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নামজারি সম্পন্ন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র হস্তান্তর করে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়।

Continue Reading

Politics

“বাজেটে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের প্রতিফলন নেই, মানুষ হতাশ: জোনায়েদ সাকি”

Published

on

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বাজেটটি আমলাতান্ত্রিক ও পুরোনো কাঠামোর অনুসরণে তৈরি, যা সাধারণ মানুষের জীবনে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না।

আজ বুধবার রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বাজেট পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন। এ সময় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু ও মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

সাকি বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তরুণদের ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। বরং নিম্ন আয়ের মানুষের করসীমা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা হয়নি, মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, অথচ ধনীদের কর কমানো হয়েছে। এই বৈষম্য নতুন করে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। বাজেট প্রণয়নে আমলাতন্ত্রের বড় ভূমিকা থাকায় কাঠামোগত ও চিন্তাগত পরিবর্তন ঘটেনি, যা জনগণকে হতাশ করেছে।

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ জরুরি উল্লেখ করে সাকি বলেন, বাজেটে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো নতুন নীতি নেই। ফলে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম, যা তরুণদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।

তিনি বলেন, সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে জবাবদিহিতা হয়নি। তাই সরকারকে রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সংগঠন, উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। বাজেট নিয়ে শুনানি আয়োজন করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

Continue Reading

Politics

ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর স্পষ্ট ভূমিকা চাইলেন সারজিস আলম”

Published

on

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে স্পষ্ট অবস্থান ও কার্যক্রম প্রদর্শন করে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে সামান্য আগুনের ঘটনায় সেনাবাহিনী তৎপর হলেও, গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও খুনিদের ধরতে তেমন কোনো অভিযান চালানো হয়নি।

সারজিস আলমের অভিযোগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলের ছদ্মাবরণে সরকারি দলের সুবিধা নিচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, জাপার সন্ত্রাসীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে, অথচ সেনাবাহিনী মূল ঘটনা উপেক্ষা করে বাইক পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অভিযান পরিচালনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই।

Continue Reading

Trending

Copyright © 2025 Bochaganjupazilamodelpress.com