Connect with us

Politics

বিএনপি সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে এক মাস সময় দেবে

Published

on


বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশে সরকারকে এক মাস সময় দিয়েছে। দলটি আশা করছে, সরকার তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে এবং নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে, জুলাই মাস থেকে বিএনপি কঠোর আন্দোলনে নামবে।

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। তারা মনে করেন, এই সময়ের মধ্যে সরকারের মনোভাব পরিবর্তন না হলে, আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করব। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব, যাতে সরকারের বিবেচনাবোধ জাগে।”

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, “নির্বাচনের জন্য আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে। সামনে আরও কর্মসূচি থাকবে।

গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। তবে, এসব কর্মসূচির বিস্তারিত এখনো নির্ধারিত হয়নি।

Politics

খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ তুলে দিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা

Published

on

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে এই কাগজপত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। তবে হস্তান্তরিত কাগজপত্রের বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুলশানে দেড় বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাড়িটি ‘ফিরোজা’ নামের তাঁর বর্তমান বাসভবনের কাছেই অবস্থিত। এছাড়া, সেনানিবাস এলাকায় আরেকটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, গুলশানের বাড়িটি খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁর নামে নামজারি করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নামজারি সম্পন্ন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র হস্তান্তর করে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়।

Continue Reading

Politics

“বাজেটে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের প্রতিফলন নেই, মানুষ হতাশ: জোনায়েদ সাকি”

Published

on

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বাজেটটি আমলাতান্ত্রিক ও পুরোনো কাঠামোর অনুসরণে তৈরি, যা সাধারণ মানুষের জীবনে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না।

আজ বুধবার রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বাজেট পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন। এ সময় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু ও মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

সাকি বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তরুণদের ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। বরং নিম্ন আয়ের মানুষের করসীমা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা হয়নি, মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, অথচ ধনীদের কর কমানো হয়েছে। এই বৈষম্য নতুন করে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। বাজেট প্রণয়নে আমলাতন্ত্রের বড় ভূমিকা থাকায় কাঠামোগত ও চিন্তাগত পরিবর্তন ঘটেনি, যা জনগণকে হতাশ করেছে।

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ জরুরি উল্লেখ করে সাকি বলেন, বাজেটে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো নতুন নীতি নেই। ফলে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম, যা তরুণদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।

তিনি বলেন, সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে জবাবদিহিতা হয়নি। তাই সরকারকে রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সংগঠন, উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। বাজেট নিয়ে শুনানি আয়োজন করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

Continue Reading

Politics

ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর স্পষ্ট ভূমিকা চাইলেন সারজিস আলম”

Published

on

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে স্পষ্ট অবস্থান ও কার্যক্রম প্রদর্শন করে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে সামান্য আগুনের ঘটনায় সেনাবাহিনী তৎপর হলেও, গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও খুনিদের ধরতে তেমন কোনো অভিযান চালানো হয়নি।

সারজিস আলমের অভিযোগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলের ছদ্মাবরণে সরকারি দলের সুবিধা নিচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, জাপার সন্ত্রাসীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে, অথচ সেনাবাহিনী মূল ঘটনা উপেক্ষা করে বাইক পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অভিযান পরিচালনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই।

Continue Reading

Trending

Copyright © 2025 Bochaganjupazilamodelpress.com