Connect with us

Sports

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়

Published

on

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পাকিস্তানের স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট হারিয়ে ফেলেন।

পাকিস্তানের ইনিংস: শক্তিশালী ব্যাটিং প্রদর্শন

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দল ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে। অধিনায়ক সালমান আগা ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন, যেখানে তিনি ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তাঁর সঙ্গে হাসান নওয়াজ ২২ বলে ৪৪ রান করেন। শেষ দিকে শাদাব খান ৪৮ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর ২০০ পার করাতে সাহায্য করেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন, তবে রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার হন। শামীম হোসেন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন, যা দলের পক্ষে সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং ছিল

বাংলাদেশের ইনিংস: ব্যাটিং বিপর্যয়

২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ দল শুরুতেই চাপে পড়ে। দ্বিতীয় ওভারে পারভেজ হোসেন ৪ রান করে আউট হন। এরপর তানজিদ হাসান ১৩ রান করে বোল্ড হন। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু লিটন ৩৫ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ১১৮/৫ স্কোরে পৌঁছায়।

পাকিস্তানের স্পিনাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নেন। শাদাব খান, খুশদিল শাহ এবং সালমান আগা দ্রুত তিনটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন।

ম্যাচের ফলাফল

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। ফলে পাকিস্তান ৩৬ রানে জয়লাভ করে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

পরবর্তী ম্যাচ

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী শুক্রবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ দল সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া থাকবে, যেখানে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই উন্নতি প্রয়োজন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Sports

প্রবাসীদের আলোয় ফুটবলের স্বপ্ন, কিন্তু ভিত কতটা মজবুত?

Published

on


ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৫৫ মাস পর জাতীয় ফুটবল দলের প্রত্যাবর্তন যেন এক উৎসবে পরিণত হয়। ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা ফুটবলার হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত এক গোল করে তিনি জাতীয় দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বর্তমানে জাতীয় দলে রয়েছেন ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার—জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, কাজেম শাহ, হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম ও শমিত সোম। আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে শমিত সোমের। এছাড়া কিউবা মিচেলসহ আরও কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

তবে এই উচ্ছ্বাসের আড়ালে রয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের করুণ বাস্তবতা। দেশের প্রিমিয়ার লিগে অনেক দল খেলার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো, নিজস্ব মাঠ, সমর্থক বা পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত। ফুটবলাররা নিয়মিত পারিশ্রমিক পান না, কোচ ও রেফারিরা অবহেলিত, এবং ক্লাবগুলো দিশাহারা। তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর লিগের অভাব এবং ক্লাব সংস্কৃতির দুর্বলতা জাতীয় দলের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

প্রবাসী ফুটবলারদের অবদান নিঃসন্দেহে গর্বের, তবে শুধুমাত্র তাঁদের উপর নির্ভর করে জাতীয় ফুটবলের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। দরকার শক্ত ভিত—যেখানে থাকবে কিশোর লিগ, অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতা, উন্নত কোচিং, ভালো রেফারিং, রেফারিদের জন্য ভালো প্রণোদনা ও ক্লাব সংস্কৃতির নবজাগরণ। এই ভিত গড়ে তুলতে হবে দেশের ভেতর থেকেই।

Continue Reading

Sports

হামজার হেডে ভুটানকে হারিয়ে ফুটবলের পুনর্জাগরণ

Published

on

৫৫ মাস পর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফিরল, আর সেই ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারাল ভুটানকে। ম্যাচের ৬ মিনিটেই জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী, যা তাঁর জাতীয় দলের প্রথম গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সোহেল রানার দুর্দান্ত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ম্যাচে পাঁচ প্রবাসী ফুটবলার একসঙ্গে খেলেন, যা দলের বৈচিত্র্য ও শক্তি বাড়িয়েছে।

তবে ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা যায়—টিকিট থাকা সত্ত্বেও অনেক দর্শক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেননি, গেট ভেঙে ঢোকার ঘটনাও ঘটে। এছাড়া এক দর্শক নিরাপত্তা ভেঙে মাঠে ঢুকে হামজার সঙ্গে ছবি তুলতে চান।

তবুও, ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এক নতুন আশার আলো।

Continue Reading

Sports

বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেলেন কিউবা মিচেল: জাতীয় দলে খেলার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে

Published

on

বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা হিসেবে উঠে এসেছেন কিউবা মিচেল। ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার সম্প্রতি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন, যা তাকে জাতীয় দলে খেলার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

কিউবা মিচেল বর্তমানে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলছেন। এর আগে তিনি ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ২৫টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। ডিফেন্সিভ, সেন্ট্রাল এবং অ্যাটাকিং—মিডফিল্ডের তিনটি পজিশনেই সমান দক্ষতা রয়েছে তার।

তার মা বাংলাদেশি এবং বাবা জ্যামাইকান। এই পারিবারিক পটভূমি তাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা দিয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ইতোমধ্যে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এবং সান্ডারল্যান্ড ক্লাবের কাছে অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করেছে। এই অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হবে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কিউবা মিচেল লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন।

আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে কিউবা মিচেলের খেলার সম্ভাবনা নেই, কারণ এখনো প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

এর আগে, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক করেন। এরপর থেকে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ বেড়েছে।

প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে ২০১৩ সালে জাতীয় দলে অভিষেক করেন ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামাল ভূঁইয়া। তার পথ ধরে এখন কিউবা মিচেল বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন।

Continue Reading

Trending

Copyright © 2025 Bochaganjupazilamodelpress.com