Politics
ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে ভারতের হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও তাঁর ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন। জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, তাঁর স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে। এছাড়া, মাসুদ আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তাঁদের একজনের মা নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত বা পাকিস্তানের সরকারিভাবে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’তে হামলা চালিয়েছে। তবে ইসলামাবাদ বলেছে, পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে হামলা হয়েছে এবং সেগুলোর কোনোটি ‘জঙ্গি শিবির’ ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগপত্রে দাবি করেছিল, ওই হামলার পেছনে মাসুদ আজহার ও তাঁর ভাই আবদুর রউফ আসগরের হাত ছিল।
Politics
খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ তুলে দিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে এই কাগজপত্র তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। তবে হস্তান্তরিত কাগজপত্রের বিস্তারিত সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুলশানে দেড় বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বাড়িটি ‘ফিরোজা’ নামের তাঁর বর্তমান বাসভবনের কাছেই অবস্থিত। এছাড়া, সেনানিবাস এলাকায় আরেকটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, গুলশানের বাড়িটি খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাঁর নামে নামজারি করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নামজারি সম্পন্ন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র হস্তান্তর করে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণে এই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়।
Politics
“বাজেটে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের প্রতিফলন নেই, মানুষ হতাশ: জোনায়েদ সাকি”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বাজেটটি আমলাতান্ত্রিক ও পুরোনো কাঠামোর অনুসরণে তৈরি, যা সাধারণ মানুষের জীবনে বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বাজেট পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন। এ সময় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু ও মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
সাকি বলেন, বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তরুণদের ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। বরং নিম্ন আয়ের মানুষের করসীমা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা হয়নি, মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, অথচ ধনীদের কর কমানো হয়েছে। এই বৈষম্য নতুন করে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। বাজেট প্রণয়নে আমলাতন্ত্রের বড় ভূমিকা থাকায় কাঠামোগত ও চিন্তাগত পরিবর্তন ঘটেনি, যা জনগণকে হতাশ করেছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ জরুরি উল্লেখ করে সাকি বলেন, বাজেটে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো নতুন নীতি নেই। ফলে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম, যা তরুণদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।
তিনি বলেন, সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে জবাবদিহিতা হয়নি। তাই সরকারকে রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সংগঠন, উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। বাজেট নিয়ে শুনানি আয়োজন করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।
Politics
ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর স্পষ্ট ভূমিকা চাইলেন সারজিস আলম”

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে স্পষ্ট অবস্থান ও কার্যক্রম প্রদর্শন করে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে সামান্য আগুনের ঘটনায় সেনাবাহিনী তৎপর হলেও, গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও খুনিদের ধরতে তেমন কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
সারজিস আলমের অভিযোগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) আওয়ামী লীগের ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলের ছদ্মাবরণে সরকারি দলের সুবিধা নিচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, জাপার সন্ত্রাসীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে, অথচ সেনাবাহিনী মূল ঘটনা উপেক্ষা করে বাইক পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অভিযান পরিচালনা করেছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা এখনো যথেষ্ট সম্মানের জায়গায় রাখি। কিন্তু ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তাদেরও স্পষ্ট অবস্থান এবং কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই।
-
Politics2 months ago
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য এক বছরের ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান
-
Business4 weeks ago
সুতা আমদানিতে জটিলতা—বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
-
Politics1 month ago
রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ ৭ সিদ্ধান্ত
-
Sports4 weeks ago
নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ
-
Business3 weeks ago
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণে আলটিমেটাম দিয়েছে সংস্কার ঐক্য পরিষদ
-
Politics3 weeks ago
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার
-
Politics1 month ago
পুলিশি হেফাজত থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
-
Politics4 weeks ago
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পর সরকারের সঙ্গে সংলাপে রাজি ইমরান খান